স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে শ্রীমঙ্গলের সামাজিক সংগঠন ‘বিবেকী তারুণ্য’।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নে কুরমা ও কুরুঞ্জী চা-বাগান এলাকায় বিবেকী তারুণ্যের উদ্যোগে ২৫টি গৃহহীন পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা করেছে। এর আগে ৬০০ টি বানভাসী পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে সংগঠনটি।
কমলগঞ্জ ইসলামপুর ইউপি সদস্য চালস সুঙ এর সভাপতিত্বে এবং রূপক কুমার দাসের সঞ্চালনায় আর্থিক সহায়তা কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কুরুঞ্জী চা-বাগানের পঞ্চায়েত প্রধান সিমন্ত মুন্ডা, শ্রীমঙ্গল কালীঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তার, রাস্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের সদস্য রিয়াজ আহমেদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ, সমাজকর্মী তাপস দাশ ও ইশীকা ইশা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য শাহেদ রহমান, নিলয়, তানজিন, সামি, ফারহান প্রমুখ।
সংগঠক ইশীকা বলেন, আমরা বিবেকী তারুণ্যের পক্ষ থেকে পূর্বেও বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছি। কিন্তু এখনো মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের ঘরবাড়ি বসতযোগ্য করতে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। এই বিষয়টি এড্রেস করে আমরা সমাজের বিত্তবানসহ বিভিন্ন শেণী-পেশার মানুষের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করেছি। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, কুরমা ও কুরুঞ্জী চা-বাগানে অনেকগুলো পরিবার এখনো গৃহহীন অবস্থায় আছে। কারো ঘরের টিন, কারো মাটির দেয়াল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকেই এখনো যার যার আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেক মানুষ খাদ্যকষ্টে ভুগছে। তাই আমরা এই বাগানগুলোতে আমাদের সাধ্যমতো আর্থিক সহায়তা করে বন্যা কবলিত মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের স্বার্থে বিবেকী তারুণ্য সবসময় নিরলস কাজ করে যাবে। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে যেসকল সামাজিক সংগঠন কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। তবে সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে পরস্পরের মাঝে সমন্বয় করে কাজ করার।