অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছর নুসুক কার্ড ছাড়া কেউ হজ করতে পারবেন না। সৌদি সরকারের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া হজযাত্রী প্রতিরোধ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হজ এজেন্সির মালিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, জেদ্দা হজ অফিস থেকে এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত পত্রের ছায়ালিপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। জেদ্দা হজ অফিস থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মাশায়ের (মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফ) এলাকাসহ মক্কা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মক্কায় প্রবেশের তাসরিহ বা নুসুক কার্ড ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলে প্রথমবার ১০ হাজার সৌদি রিয়াল অর্থদণ্ড এবং পুনরায় অপরাধে দ্বিগুণ জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। হজের অনুমতি নেই, এমন কোনো ব্যক্তিকে পরিবহন করা হলে পরিবহনকারীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে।
এ ছাড়া মিনা ও আরাফাতে হাজির তাঁবুতে নুসুক কার্ড ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলে তাকে অর্থদণ্ড আরোপ এবং দেশে প্রত্যাবর্তনের মতো শাস্তি প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরূপ কর্মের সহযোগিতাকারীকেও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
হজের অনুমতি নেই কিংবা নুসুক কার্ডবিহীন কাউকে মাশায়েরে পরিবহন করলে গাড়িচালকসহ উভয়েই শাস্তির আওতায় আসবেন। ই-হজ সিস্টেমে ভাড়াকৃত বাড়ি বা হোটেলে হাজি আবাসন না করে অন্যত্র হাজি আবাসন করা হলে অথবা সিস্টেমে এক হোটেল এন্ট্রি দিয়ে অন্য হোটেলে হাজি ওঠানো হলে এজেন্সি বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুদ থাকবে এবং হজের জন্য পবিত্র কাবার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে এই কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় কার্ডটি দেখাতে হবে।