নিউজ ডেস্ক: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
ডিবির প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারের পর তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় তাদের নামে একাধিক হত্যা মামলা আছে। ডিবি জানায়, তাদের কী ভূমিকা ছিল– এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
শহীদুল হক ছয় বছর আগে পুলিশ থেকে অবসর নেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে যোগদান করেন শহীদুল হক। তিনি যোগদানের পর তাঁর মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের অনুদানের নামে ঘুষ নেওয়ার প্রথা চালু হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মকর্তাদের দাবি, সাবেক এই আইজিপি তাঁর মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনের জন্য শতকোটি টাকা আদায় করেন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই। সেই টাকায় বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হন তিনি।
আইজিপি থাকাবস্থায় তিনি মিরপুর শহীদ স্মৃতি পুলিশ কলেজ থেকেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন শহীদুল হক। তাঁর পরে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আইজিপি হিসেবে যোগ দেন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর।
এর ৯ মাস আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) কাজ করা সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করা মামুন। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
গত ৭ জানুয়ারির একপেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নেপথ্যে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ আছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালানোর পর ৭ আগস্ট তাঁকে অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার।