সংযুক্ত আরব আমিরাত: চলতি বছরের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বাস্তবতায় সেই আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর। ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে আমিরাতে হলেও বাংলাদেশই থাকবে আনুষ্ঠানিক আয়োজক।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) টিকিটের মূল্য প্রকাশ উপলক্ষে দেশটির সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফায় একটি লেজার শো করা হয়। আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিও অ্যালারডাইস বলেছেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর বৈচিত্র্যতা।’ টুর্নামেন্টের সবগুলো দল ও খেলোয়াড়ই সমর্থন পাবেন বলে বিশ্বাস তার। টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র পাঁচ দিরহাম। এমনকি ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা রেখেছে আইসিসি। খেলা হবে দুবাই ও শারজার দুটি ভেন্যুতে।
বাংলাদেশ থেকে টুর্নামেন্টটি সরিয়ে নিয়ে কম সময়ের মধ্যে আরব আমিরাতে আয়োজনের জন্য ইসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অ্যালার্ডিস। তিনি বলেন,”আমি ইসিবি এবং দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিলে আমাদের বন্ধুদের পাশাপাশি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম এবং শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দলগুলিকে তাদের অসাধারণ প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।
ইসিবি বোর্ডের সদস্য জায়েদ আব্বাস বলেছেন, বিশ্বকাপ আয়েজনে তারা আইসিসি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
“আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা এবং শীর্ষ স্থানিয় ক্রিকেট আয়োজনের অভিজ্ঞতা আছে। এবং আমরা আবারও আরেকটি বিশ্ব-মানের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে প্রস্তুত।”
আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৮ দিনে মোট ২৩টি ম্যাচ খেলবে দলগুলো। দুইটি গ্রুপে ৫টি করে মোট ১০টি দল খেলবে। রাউন্ড রবিন লিগে প্রত্যেক দল তার গ্রুপের চারটি দলের বিপক্ষে খেলবে। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দুইটি দল নকআউট পর্বে খেলবে।