বুধবার , ৮ মে ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খুলনা
  4. খেলা
  5. চট্টগ্রাম
  6. চাকরি
  7. চায়ের জনপদ
  8. জাতীয়
  9. টেক
  10. ঢাকা
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. প্রযুক্তি
  15. বরিশাল

শুধু ইসলাম নয়, সব ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করছে সরকার’

প্রতিবেদক
admin
মে ৮, ২০২৪ ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ
শুধু ইসলাম নয়, সব ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করছে সরকার’

নিউজ ডেস্ক: শুধু ইসলাম নয়, সব ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করছে সরকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বাংলাদেশে ইসলামের নামে মানুষ হত্যা, খুন, বোমাবাজি ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয়। আমরা সেই ভীতিকর অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আশকোনা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে ইসলামের কল্যাণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছি। এ পর্যন্ত ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাকায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশের ৮০টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। দেশের ৩৫ হাজার মসজিদে পাঠাগার নির্মাণ করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র কোরআনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করেছি। জাতীয় শিক্ষা নীতিতে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমকেও জাতীয় শিক্ষা নীতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু ইসলাম নয়, আমরা সব ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বাংলাদেশে ইসলামের নামে মানুষ হত্যা, খুন, বোমাবাজি ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয়। আমরা সেই ভীতিকর অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এক ঐতিহাসিক বেতার ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, লেবেল সর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী-ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রসূলে করীম (স.)-এর ইসলাম, যে ইসলাম জগতবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করেই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আমরা হজ ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তি নির্ভর করার পদক্ষেপ নেই। আমরা ই-হজ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেছি। এর ফলে অতীতে হজ পালনের দুর্ভোগ, অব্যবস্থাপনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, হজযাত্রীদের হয়রানি, ভিসা জটিলতা, ফ্লাইট বিপর্যয় ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন ঘরে বসেই হজের সব কাজ করতে পারছে জনগণ।

সরকার প্রধান বলেন, হজ কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য সোনালী ব্যাংক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, জন্ম ও মৃতু নিবন্ধনের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি প্রকল্প, এনটিএমসি ও বিসিসি’র সার্ভারের সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। হজযাত্রীদের অবস্থানের সুবিধার্থে আমরা হজ ক্যাম্প ঢাকার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করেছি। মহিলা এবং পুরুষ হজযাত্রীদের জন্য পৃথক ডরমিটরি স্থাপন করা হয়েছে। ডরমিটরিতে এসি স্থাপন করা হয়েছে। হজ অফিস ঢাকায় হজযাত্রীদের বোর্ডিং, চেক-ইন ও বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সম্পন্নকরণের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। হজ অফিস হতে হজযাত্রীগণ যাতে সরাসরি নিরাপদে ও সহজে বিমানবন্দর পৌছাতে পারেন সেজন্য হজ অফিস হতে বিমানবন্দর পর্যন্ত আন্ডার পাস নির্মাণের কার্যক্রম অচিরেই শুরু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার কষ্ট লাঘবের জন্য সৌদি সরকারের সাথে আমরা ২০২২ সালে ‘রোড-টু-মক্কা সার্ভিস চুক্তি’ স্বাক্ষর করেছি। এখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের সৌদি আরবের প্রি-এ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে। ২০০৯ সালে আমরা জেদ্দায় পৃথক হজ অফিস স্থাপন করে সেখানে একজন কাউন্সিলর ও একজন হজ-কনসাল নিয়োগ দেই। জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে হজযাত্রীদের বিশ্রামের জন্য আমরা প্লাজা ভাড়া করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, সরকারের বহুমুখী উদ্যোগের ফলে এখন আর ইহরামের কাপড় পরিধান করে বিমানবন্দর বা হজ ক্যাম্পের সামনে এসে হজযাত্রীদের মানববন্ধন করতে হয় না। হজযাত্রীগণ এখন পূর্ব থেকেই ভিসার তথ্য এবং বিমান যাত্রার তারিখ নিশ্চিত হয়ে বাড়ি থেকে হজ ক্যাম্পে আসেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্ধারিত ফ্লাইটে আরোহণ করে জেদ্দা কিংবা মদিনার উদ্দেশ্যে গমন করেন।

তিনি আরও বলেন, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ প্রণয়ন করেছি। এর ফলে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকার সহজ হয়েছে। হজযাত্রীদের সাথে কোন এজেন্সি প্রতারণা বা হয়রানি করলে সে এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। হজ এজেন্সিগুলোকেও আরও প্রযুক্তি-নির্ভর ও স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে পারে।

তিনি বলেন, এবছর হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। হজ ব্যবস্থাপনার বর্তমান সরকারের এ সফলতার ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত