আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আপনি যদি অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারণ আজকে আমরা অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেব ।
অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম
এখন আমরা আমাদের আজকের পোষ্টের মূল টপিক অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেব। যদি আপনি অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম আগে কোন কিছুই বুঝে না থাকেন তাহলে ও আপনি আমার এই লেখাগুলো পড়ার মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন । চলুন তাহলে এখন আমরা অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম এক এক করে পয়েন্ট ভিত্তিক আলোচনা শুরু করে দেয় ।
আমরা আপনাদেরকে ধাপে ধাপে অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বুঝাবো প্রথমে যে ধাপ আছে সেই ধাপ কমপ্লিট করার পর পরের ধাপে চলে যেতে হবে তাই আশা করি ধাপ গুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়বেন ।
অনলাইন ব্যবসা করার সুবিধা ও অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
.১। বেশি চাহিদাযুক্ত পণ্য নির্বাচন
দেখুন বন্ধুরা যদি ভাল ব্যবসা করতে চান তাহলে এমন পণ্য আপনাকে বাচাই করতে হবে যেই পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি এজন্য আপনি আমাদের অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া এই টপিক টি পড়তে পারেন । বেশি চাহিদাযুক্ত পণ্যের সাথে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রেখে আপনাকে পণ্য নির্বাচন করতে হবে । মনে রাখবেন যদি আপনি এই পণ্য নির্বাসচন করতে ভুল করেন তাহলে কিন্তু আপনার অনলাইন ব্যবসায় সঠিকভাবে লাভবান হতে পারবেন না । যাই হোক নিচের নিয়ম গুলো মেনে প্রথমে আপনাদেরকে পণ্য নির্বাচন করতে হবে ।
- বড় বড় যে মার্কেটপ্লেস আছে ,বড় বড় শপিংমল গুলা আছে আপনি সেখানে গিয়ে দেখুন মানুষের কোন পণ্য বেশি চাহিদা রয়েছে অর্থাৎ মানুষ কোন পণ্য বেশি ক্রয় করতেছে ।
- এমন পণ্য নির্বাচন করতে হবে যে পণ্য মানুষের আশেপাশে পাওয়া যায় না। যদি আপনি আশেপাশে পাওয়া যায় এমন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করেন তাহলে আপনার ব্যবসায় বেশি বিক্রি করতে পারবেন না । অর্থাৎ যে পণ্যগুলো মানুষ সহজে পেয়ে যায় এমন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না ।
- সব সময় চেষ্টা করবেন উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন প্রোডাক্টগুলো আপনার স্টকে রাখার। অর্থাৎ যে পণ্যের গুনাগুন অনেক বেশি ভালো সেই পণ্যগুলোর ব্যবসা করবেন । এবং অবশ্যই পণ্যের দামটা খেয়াল রাখবেন কারণ যদি আপনি কম দামে পণ্যের সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে আপনার কাস্টমার কম সময়ের মধ্যে অনেক বেড়ে যাবে।
- আর হ্যাঁ এমন কোন পণ্য নির্বাচন করবেন না যে পণ্য নিয়ে কোন এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগেই অনেক বেশি প্রচার করে ফেলেছে আপনি এই সকল পণ্য থেকে দূরে থাকবেন ।
অনলাইন ব্যবসা করার নিয়মে প্রথম ধাপে আপনাকে উপরে বলা নিয়ম অনুসরণ করে খুব যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে প্রথমে একটি পণ্য নিতে নির্বাচন করতে হবে যে পণ্য নিয়ে আপনি ব্যবসা করবেন ।
২। অন্যের ব্যবসার সিস্টেম লক্ষ্য করুন
এই পয়েন্টটি হয়তো অনেকের বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তবে সমস্যা নিয়ে আমি আপনাদেরকে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেব। অন্যের ব্যবসার সিস্টেম লক্ষ্য করা বলতে আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন, দেখুন ওই পণ্য নিয়ে আগে থেকে যারা ব্যবসা করছে তারা কিরকম ভাবে তাদের ব্যবসা গুলো পরিচালনা করছে । নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে পারেন ।
- ভালোভাবে লক্ষ্য করুন আপনার প্রতিযোগীরা কিভাবে তাদের ব্যবসাকে পরিচালনা করছে ।
- আপনার প্রতিযোগীরা কোন কোন কাস্টমারদের লক্ষ্য করছে এবং তারা কিভাবে তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করছে ।
- এটাও দেখবেন তারা তাদের পণ্যগুলোর এডস কিভাবে চালাচ্ছে অর্থাৎ কোথায় কোথায় গিয়ে তারা তাদের পণ্যগুলোর প্রচার চালাচ্ছে এবং কিভাবে তারা তাদের পণ্য গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন ।
- এছাড়াও লক্ষ্য রাখতে হবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য বিক্রি করে কিরকম লাভবান হচ্ছে ।
উপরের এই বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে তারপর আপনার ব্যবসা শুরু করবেন । যদি আপনি এই বিষয়ে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ না করেন তাহলে কখনোই অনলাইন ব্যবসা সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।
৩। আপনার ব্যবসা যেভাবে পরিচালনা করবেন তার প্লান করা
দেখুন বন্ধুরা কোন কাজ করার আগে অবশ্যই সেই কাজ কিভাবে করবেন তার পরিকল্পনা করে নিতে হয় । আর এই কাজটা ব্যবসার ক্ষেত্রে আরো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোন ব্যবসা করার আগে যদি আপনি সেই ব্যবসার পরিকল্পনা সঠিকভাবে করতে না পারেন তাহলে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সঠিকভাবে প্লান করলে আপনার ব্যবসার লাভ বেশি হবে ।
- কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন সেই বিষয়টা আগে সঠিকভাবে বাছাই করতে হবে ।
- আপনার পণ্য গুলোর বাজেট কিরকম হবে অর্থাৎ আপনার পণ্যগুলো কি রকম দামে মানুষকে প্রদান করবেন সে বিষয়ে পরিকল্পনা করে নিতে হবে ।
- আপনি অনলাইনে যে ব্যবসাটা করবেন এই ব্যবসার মাধ্যমে সাধারণ জনগণ কি ধরনের সুবিধা লাভ করতে পারবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে পরিষ্কারভাবে প্লান করে নিতে হবে।
- এছাড়াও আপনার ব্যবসা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে পরিচালনা করবেন অর্থাৎ কি রকম এমপ্লয়ি নিয়োগ দিবেন কোথায় কি করবেন সেগুলো সম্পর্কেও পরিকল্পনা করে নিতে হবে
- আপনার পণ্যের মার্কেটিং কোন কৌশলে করবেন অর্থাৎ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে এই কৌশল গুলো কি হতে পারে সে বিষয়ে পরিকল্পনা করে নেওয়া আবশ্যক।
৪। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মার্কেটিং চালিয়ে
দেখুন আপনার ব্যবসা এর প্রচার বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকল্প নেই । যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা প্রত্যেকে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত আছে অর্থাৎ facebook youtube google এগুলোর সাথে প্রত্যেকে এখন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে । তো আপনার অনলাইন এর ব্যবসা সঠিকভাবে প্রচারণার জন্য এই ফেসবুক মার্কেটিং করার মাধ্যমে কাস্টমারদের হায়ার করতে হবে।
মনে রাখবেন যদি আপনি সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করবে। তবে হ্যাঁ ফ্রি মার্কেটিং এবং পেইড মার্কেটিং দুইভাবেই আপনি চাইলে মার্কেটিং করতে পারেন।
যদি ফ্রি মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার ব্যবসার উন্নতি বা ব্যবসা প্রচারণা পেতে অনেক সময় লাগবে। আর যদি আপনি পেইড মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে আপনার ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে দেন। তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি অনেক মানুষের কাছে আপনার ব্যবসার কথা পৌঁছে দিতে পারবেন ।
আমি পরামর্শ দিব অবশ্যই আপনি পেইড মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করার চেষ্টা করবেন তাহলে দ্রুত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। পেইড মার্কেটিং আপনি যে সকল জায়গা করতে পারেন সেগুলো হল+
- ফেসবুকে অ্যাডস ক্যাম্পেইন পরিচালনার মাধ্যমে ।
- google adword এ আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচার করিয়ে ।
এছাড়াও ইউটিউবে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সংযোগ করে তাদের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রমোশন করিয়ে।
তো উপরের কাজগুলো আপনি চাইলে নিজে নিজেও করতে পারেন এছাড়া চাইলে বিভিন্ন মার্কেটারদেরকে হায়ার করে তাদের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারেন । মনে রাখবেন একটি অনলাইন ব্যবসার উন্নতি নির্ভর করবে তার মার্কেটিং এর উপরে তাই অবশ্যই এই ধাপটা খুব যত্ন সহকারে পালন করবেন ।
৫। অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল মার্কেটিং
ওপরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আলোচনা করেছি, অনলাইন এ সঠিক ভাবে ব্যবসা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর পাশাপাশি আর যদি অন্য ধরনের মার্কেটিং সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা আরও দ্রুত উন্নত লাভ করবে ।
তো এই মার্কেটিং গুলোর মধ্যে আপনি চাইলে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন মেইল মার্কেটিং করলে আপনার ব্যবসা সরাসরি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে যাবে তাহলে এতে আপনার জন্য আরো সুবিধা জনক হবে।
ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ইউজারদের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে হবে । যত বেশি ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে পারবেন আপনার ইমেইল মার্কেটিং তত বেশি ভালো হবে । আপনি চাইলে ৫০ হাজার বা এক লক্ষ ইমেল সংগ্রহ করে নিতে পারেন ।
অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা ইমেইল বিক্রি করে আপনি চাইলে তাদের থেকে ইমেইল ক্রয় করে নিতে পারেন এছাড়াও গুগলে সার্চ করলেও আপনি অনেক ইউজারদের ইমেইল ফ্রিতে সংগ্রহ করতে পারবেন। ইমেইল এড্রেস গুলো সংগ্রহ করা হয়ে গেলে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে একটি ডিসক্রিপশন লিখবেন, বা যদি কোন প্রোডাক্ট এর ইমেইল মার্কেটিং করতে চান তাহলে সেই প্রোডাক্ট এর ডিসক্রিপশন এবং টাইটেল লিখবেন খুব সুন্দরভাবে ।
এরপর সেই মেসেজটি ভালোমতো সাজিয়ে লিখবেন এবং আপনার সংগ্রহ করা ইমেইলে মেসেজটি সবার কাছে পাঠিয়ে দিবেন । এভাবে যত বেশি ইমেইল সংগ্রহ করতে পারবেন তত বেশি ইমেইল মার্কেটিং করতে সক্ষম হবেন এবং ততবেশি আপনার ব্যবসার প্রচার হবে ।
৬। ব্যবসা প্রচারণের জন্য একটি সুন্দর ওয়েবসাইট বানান
মনে রাখবেন যদি আপনার ব্যবসার একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং এই ওয়েবসাইট মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা বড় হতে খুব বেশিদিন সময় লাগবে না । এছাড়াও একটি অনলাইন ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট থাকা বাঞ্চনীয়। যদি আপনার ওয়েবসাইট ভালো মানের বানাতে পারেন তাহলে এখানে ব্যবসা করে বেশি লাভবানও হতে পারবেন ।
আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এছাড়াও যখন ইমেইল মার্কেটিং করবেন তখন সেখানে অবশ্যই প্রোডাক্ট এর ডিসক্রিপশন এর সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দেবেন। ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে নিজের বিষয়গুলো অবশ্যই অনুসরণ করে চলবেন ।
- ওয়েবসাইটের গতি সব সময় অনেক ভালো রাখবেন যাতে করে কোন ইউজার ওয়েবসাইটে ঢোকার সাথেই ওয়েবসাইটের সমস্ত ডাটা লোড নিতে পারে । যদি আপনার ওয়েবসাইটে ঢোকার পর আপনার ওয়েবসাইট লোড নিতে অনেক বেশি সময় লাগে তাহলে কিন্তু ইউজার বিরক্ত বোধ করবে এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে বেরিয়ে যাবে ।
- ওয়েবসাইট অবশ্যই পরিষ্কার রাখবেন এবং ওয়েবসাইটের মেনুগুলো যাতে খুব সহজেই খুঁজে পায় তার জন্য ফুটারে এবং হেডারে মেনুগুলো যুক্ত করে দিবেন।
- আপনার ওয়েবসাইটের হোম পেইজে যে পণ্যগুলো মানুষ বেশি ক্রয় করে থাকে সেই পণ্যগুলো খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখবেন।
- পণ্যগুলোর ডিটেলস অনেক আকর্ষণীয় এবং সুন্দরভাবে সহজ ভাষায় দেওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে করে যে কোন ইউজার পণ্যগুলো পড়ে সেগুলোর প্রতি আকর্ষিত হয় এবং খুব সহজেই সেগুলো কিনতে পারে ।
- আপনার ওয়েবসাইট কিভাবে ব্যবহার করবে কিভাবে লগইন করবে এছাড়াও কিভাবে পণ্য অর্ডার করবে সে সমস্ত বিষয়গুলো ওয়েবসাইটে সুন্দরভাবে লিখে দিবেন যাতে করে কোন ইউজারের অসুবিধা না হয়।
- অনলাইনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে সব রকম পেমেন্ট গেটওয়ে রাখবেন যাতে করে ইউজারদের পেমেন্ট করতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয়।
- ওয়েবসাইটে যে পণ্যগুলো সাজিয়ে রাখবেন অবশ্যই সেগুলো সুন্দরভাবে এসইও করবেন যাতে করে মানুষ google এ সার্চ করলে আপনার পণ্যগুলো তাদের সামনে চলে আসে।
- ওয়েবসাইট বানানো হয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইট প্রচার করার জন্য বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করবেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে যাবে ।
৭। পন্যের সেল বাড়াতে যে সমস্ত কাজ করতে পারেন
বন্ধুরা আপনারা যত বড় ব্যবসা করেন না কেন যদি আপনার পণ্য বেশি বিক্রি করতে না পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা সফল হবে না। তাই আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিভাবে বেশি পণ্য বিক্রি করা যায় তার উপায় গুলো জানতে হবে । তো আপনার পণ্যের সেল বাড়াতে নিজের কাজগুলো করতে পারেন ।
- ব্যবসার প্রচার বাড়ানোর জন্য অবশ্যই বেশি বেশি মার্কেটিং করতে হবে।
- আপনার কাস্টমারদের সাথে অবশ্যই ভালো আচরণ করতে হবে যদি আপনি খারাপ আচরণ করেন তাহলে কাস্টমার হারিয়ে ফেলবেন।
- কাস্টমার যখন আপনার ফেসবুক পেইজে বা আপনার সাথে কন্টাক্ট করার চেষ্টা করবে যত দ্রুত সম্ভব তার মেসেজের রেসপন্স করতে হবে।
- কাস্টমারদের সুবিধা অনুযায়ী তাদেরকে সার্ভিস প্রদান করতে হবে।
- অবশ্যই আপনার পণ্যগুলোর দাম কম রেখে এবং হাই কোয়ালিটি পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
- ক্রেতাদের কাছে অবশ্যই আপনার কোম্পানি সম্পর্কে বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
- প্রত্যেকটা পণ্যের ভালো গুন ও খারাপ গুণ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
- সব পন্যের পিকচার ক্লিয়ার ভাবে তুলতে হবে এবং পণ্যের শিরোনাম এবং বর্ণনা খুব ভালোভাবে মার্জিত ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে।
- প্রত্যেকটা পণ্য কার জন্য এবং কি কি কাজে ব্যবহার করা যাবে সেগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আবশ্যক ।
- যদি পণ্যের জন্য কোন ধরনের অফার থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে দেবেন।
- আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনার অর্ডার করা পণ্য যত দ্রুত সম্ভব কাস্টমারদের কাছে ডেলিভারি দিতে হবে তাহলে আপনার কাস্টমার আপনার উপর খুশি হবে। আর কাস্টমারদেরকে খুশি করতে পারলে অবশ্যই আপনার ব্যবসা দিন দিন আরো উন্নতি লাভ করবে।