শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সেই দিন হাজারো মানুষ জাতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়েন। সেসময় সংসদ ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়, অধিশাখা ও শাখা থেকে বিভিন্ন ধরনের মালামালসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত আনুমানিক ৯০ লাখ টাকা হারিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জোরদার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়, জাতীয় সংসদ ভবনে ৪ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত সচিব (অতিরিক্ত সচিব, কমিটি সাপোর্ট উইং) জেবুন্নেসা করিমের সভাপতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি অবহিতকরণ –সম্পর্কিত সভায় এসব ক্ষয়ক্ষতির তথ্য উঠে আসে।
সভায় জানানো হয়, দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত আনুমানিক ৯০ লাখ টাকা হারিয়ে যায়। এ নগদ অর্থ ফেরতের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংসদ ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়, অধিশাখা ও শাখার হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ প্রধানের কাছে দাখিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া সভায় জাতীয় সংসদ ভবনের বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানেরা নিজ নিজ অনুবিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামতের কাজ করানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন ও সেট জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ওই সভায় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া ও নাখালপাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল ও সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা এবং এসব এলাকার ভাঙা, হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্তূপীকৃত মালামাল সরেজমিন পরিদর্শন করে শপথ কক্ষে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
