বিশেষ প্রতিনিধি: সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি এই শ্লোগান ও প্রতিপাদ্য নিয়ে অন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে পিএফজির মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর ২০২৪) সকাল ১১ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনায় পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) শ্রীমঙ্গল-এর উদ্যোগে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও পিএফজির সমন্বয়কারী সাংবাদিক সৈয়দ ছায়েদ আহমেদের সঞ্চালনায় এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, ‘৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, সাপ্তাহিক নতুন কথা’র বিশেষ প্রতিনিধি, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান।
এ মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিছলু আহমেদ চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামীম আহমেদ, ফারিয়ার সভাপতি দেবব্রত দত্ত হাবুল, অ্যাম্বাসেডর কাজী আসমা, পিএফজি সদস্য আনহারুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি ও আশীদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মকসুদুর রহমান এবং পিএফজি সদস্য এম এ রহিম নোমানি প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংবাদিক ঝলক দত্ত, সাংবাদিক নান্টু রায়, পিএফজির অ্যাম্বাসেডর জহির আহমদ শামীম, পিএফজির সদস্য ছায়ফুর রহমান, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য নূর মোহাম্মদ সাগর, পিএফজি সদস্য জুয়েল আহমদ, ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপের সহসমন্বয়কারী চৌধুরী সিরাজাম মনিরা, সদস্য প্রবীর সিংহ, টিআইবির ইয়েস সদস্য মো: তোফায়েল আহমেদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা।
অন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালনের গুরুত্ব ও এর তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি এই শ্লোগান এবং “অহিংসার প্রথম নীতিই হলো সকল অমর্যাদাকে প্রত্যাখ্যান করা। নিস্ক্রিয় থেকে অহিংসা প্রতিষ্ঠা করা যায় না।”- মহাত্মা গান্ধীর বাণীকে প্রতিপাদ্য করে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন করা হচ্ছে। বিশ্ব থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি, অসহিষ্ণুতা ও রক্তপাত বন্ধে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে প্রতিবছর ২রা অক্টোবর বিশ্ব অহিংস দিবসটি পালন করা হয়।
মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। ২০০৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে ভারতের আনীত প্রস্তাবে সর্বসম্মতিক্রমে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবস ২ অক্টোবরকে `আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।