ওয়েবসাইট কি?
বন্ধুরা আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রথমে ওয়েবসাইট কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে । এরপর আপনি চাইলে ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম ভালোমতো বুঝে নিয়ে আপনার ওয়েবসাইট খুলে তারপর সুন্দরভাবে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন ।
দেখুন ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি তথ্য ভান্ডার যেখানে ঢোকার মাধ্যমে আপনি আপনার বিভিন্ন তথ্য গুলো দেখতে পারবেন । আপনি গুগলে ঢুকে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন google.com ও একটি ওয়েবসাইট । এছাড়াও আপনি যে প্রতিদিনের বেশিরভাগ সময় ফেসবুক এ কাটান এই ফেসবুক ও কিন্তু একটি ওয়েবসাইট । এছাড়াও ভিডিও দেখার জন্য আমরা যে ইউটিউব ব্যবহার করি এই ইউটিউব ও একটি ওয়েবসাইট ।
তবে এই ওয়েবসাইটের ধরন গুলো আলাদা আলাদা । ধরন আলাদা আলাদা হলেও ওয়েবসাইট কে কিন্তু একটি তথ্য ভান্ডার হিসেবেই চিহ্নিত করা যায় । যাইহোক আপনি চাইলে ওয়েবসাইট খুলে অনেক টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন যা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবে ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি ও কেন করবেন
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
যদি আপনি সঠিকভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে যে বিষয়টা সম্পর্কে ভালোমতো জেনে নিতে হবে সেটা হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে । অর্থাৎ যে কোন বিষয়ে তৈরি করতে হলে আগে কিন্তু কিছু বিষয় প্রয়োজন হয় যেগুলোর সমন্বয়ে ওই জিনিসটা তৈরি করতে হয় । ঠিক এরকম ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলেও আপনাকে এই ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে বেশ কিছু বিষয় সংগ্রহ করে নিতে হবে তারপর আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম জেনে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন ।
যাই হোক চলুন আমরা তাহলে ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এই প্রশ্ন সম্পর্কে ভালো মতো জেনে নেই ।
বন্ধুরা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমত যে বিষয়টি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং । হয়তো অনেকের কাছেই এই ডোমেইন হোস্টিং বিষয়টা নতুন মনে হচ্ছে কিন্তু আশা করি বেশিরভাগ পাঠক এই ডোমেইন হোস্টিং সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন । যাইহোক আমি ধরে নিচ্ছি আমার সকল পাঠক নতুন এবং ডোমেইন হোস্টিং সম্পর্কে কেউ জানে না চলুন আমরা প্রথমে আপনাকে ডোমিন হোস্টিং সম্পর্কে জানিয়ে দেই । তবে আপনি যদি এই ডোমেইন হোস্টিং সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকেন তাহলে আমাদের পোস্টের পরবর্তী টপিক পড়ে নিতে পারবেন ।
ডোমেইন হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত
বন্ধুরা চলুন আমরা প্রথমে ডোমেইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো এবং তারপরে আমরা হোস্টিং সম্পর্কে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করব ।
ডোমেইন নিয়ে আলোচনা
দেখুন ডোমেইন হচ্ছে একটা নাম। প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের কিন্তু একটি নিজস্ব নাম রয়েছে । যেমন ফেসবুকের নিজস্ব নাম ফেসবুক এছাড়াও ইউটিউব এর নিজস্ব নাম ইউটিউব এছাড়া গুগলের নিজস্ব নাম গুগল এই ধরনের প্রত্যেকটা ওয়েবসাইট এর ওই নিজস্ব একটি ইউনিক নাম রয়েছে ।
তো এই নামটাই হচ্ছে ডোমেইন। তবে আপনি এই ডোমেইন নেমটা ফ্রিতে পাবেন না আপনাকে এটি যে কোন ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি থেকে ক্রয় করে নিতে হবে । যারা এখনো ডোমেইন সম্পর্কে ভালো মতো বোঝেন নাই তাদেরকে বলে নেই আপনি ধরুন একটি ওয়েবসাইট বানাবেন আর আপনার ওয়েবসাইটের নাম রাখতে চাচ্ছেন নিউ ওয়েবসাইট তো এখন এই ওয়েবসাইটের নামটা আপনাকে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কিনে নিতে হবে আর এটাই হচ্ছে ডোমেইন ।
তবে এই ডোমেইন এর বিভিন্ন ধরনের এক্সটেনশন আছে। যেমন facebook.com google.com , শেষে যে আপনি ডট কম দেখতে পাচ্ছেন এটাই হচ্ছে ডোমেইন এর এক্সটেনশন । আর ডটকম এর আগের অংশটা হচ্ছে ডোমেইন নেম । তো এই এক্সটেনশন বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যায় ( xyz, top, info, biz ) বর্তমানে অসংখ্য এক্সটেনশন আছে যেটা ভালো লাগে আপনি সেটা কিনবেন তবে ডট কম এক্সটেনশন টা একটু ব্রান্ডেবল এবং অনেক বেশি জনপ্রিয় । আশাকরি ডোমেইন সম্পর্কে আর কারো মনে কোন ধরনের প্রশ্ন নেই ।
হোস্টিং নিয়ে বিস্তারিত
বন্ধুরা আমরা এতক্ষন ওপরে ডোমেইন নিয়ে আলোচনা করলাম যেটা ছিল আপনার ওয়েবসাইটের নাম । তো এখন কথা হচ্ছে আপনি যে ডোমেইনটা কিনলেন এখন এই ডোমেইন টা দিয়ে কি করবেন বা ডোমেইন টা কোথায় নিয়ে গিয়ে বসাবেন কি করলে আপনার ওয়েবসাইট বানানো হয়ে যাবে। তো এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলেই হোস্টিং বিষয়টা চলে আসে । এক কথায় আপনার ডোমেইন নেমটা নিয়ে আপনি যে জায়গায় বসালে বা যে জায়গায় সেটআপ করলে আপনার ওয়েবসাইট বানানো হয়ে যাবে বা আপনার ওয়েবসাইট চালু হয়ে যাবে সেটাকেই সাধারণত হোস্টিং বলা হয়
আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলা যায় আপনি যখন কোন একটি ওয়েবসাইটে ঢোকেন তখন দেখবেন সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে কোন ফটো বা ভিডিও বা লেখা থাকে তো এই লেখাগুলো রাখার জন্য কোন না কোন স্টোরেজ এর দরকার হয় আর এই স্টোরেজ এর কাজটা করতে আপনার হোস্টিং দরকার ।
আপনার ওয়েবসাইট বানানো থেকে শুরু করে আপনার ওয়েবসাইটের ম্যানেজমেন্ট সহ যাবতীয় কাজ এই হোস্টিং এর মধ্যে করতে হয় । আর ওয়েবসাইট বাড়ানোর ক্ষেত্রে হোস্টিং বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । আশা করি আপনারা হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এখন চলুন আমরা ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম এর দিকে ধাবিত হয় ।
ডোমেইন ও হোস্টিং ছাড়া কি ওয়েবসাইট বানানো যায়?
হ্যাঁ, ডোমেইন হোস্টিং ছাড়াও ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব। কিছু উপায় হলোঃ
১. ওয়েবসাইট বিল্ডার ব্যবহার:
- Wix, Squarespace, Weebly, Shopify, Blogger ইত্যাদি ওয়েবসাইট বিল্ডার ব্যবহার করে আপনি সহজেই ডোমেইন হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
- এই বিল্ডারগুলোতে ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ ইন্টারফেস রয়েছে যা আপনাকে কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে।
- তবে, এই বিল্ডারগুলোতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনি পুরোপুরিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে পারবেন না এবং আপনাকে তাদের প্ল্যানের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে।
২. ফ্রি সাবডোমেইন ব্যবহার:
- GitHub Pages, GitLab Pages, Netlify, Firebase, Blogger, WOrdpress ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনি ফ্রি সাবডোমেইন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
- এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
- তবে, এই প্ল্যাটফর্মগুলোতেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনি ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না এবং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩. ওয়েবসাইট হোস্টিং প্রদানকারীর ফ্রি ট্রায়াল ব্যবহার:
- অনেক ওয়েবসাইট হোস্টিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রি ট্রায়াল অফার করে।
- এই ট্রায়াল ব্যবহার করে আপনি ডোমেইন হোস্টিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
- তবে, ট্রায়াল শেষ হলে আপনাকে হোস্টিংয়ের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে।
ডোমেইন হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করার কিছু সুবিধা:
- এটি বিনামূল্যে।
- এটি সহজ এবং দ্রুত।
- এটি কোডিং জ্ঞান ছাড়াই করা যায়।
ডোমেইন হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করার কিছু অসুবিধা:
- এতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
- আপনি পুরোপুরিভাবে আপনার ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে পারবেন না।
- আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন না।
আপনার জন্য কোন বিকল্পটি সেরা তা নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনের উপর।
ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
আমরা আমাদের পোষ্টের উপরের দিকে ওয়েবসাইট নিয়ে আপনাদেরকে অনেক বেশি পরিমাণ তথ্য জানিয়ে ফেলেছি। এই তথ্য গুলোর মধ্যে আমরা আপনাদেরকে ওয়েবসাইট বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বেশি ভালোমতো বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে বন্ধুরা শুধুমাত্র ওয়েবসাইট বানালেই আপনি কিন্তু ইনকাম করতে পারবেন না এজন্য আপনাকে ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে ভালোমতো আইডিয়া অর্জন করতে হবে। তো বন্ধুরা একটি ওয়েবসাইট খুলে আপনি বিভিন্নভাবে টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে এই উপায় গুলোর মধ্যে যারা আমরা ব্লগিং করি তারা বেশিরভাগ এডসেন্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকি। এছাড়া ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম এর আরো শত শত উপায় আছে যেগুলো আপনারা ওয়েবসাইট বানানোর পরে অনলাইনে রিসার্চ করে নিজে নিজে বুঝতে পারবেন।
এডসেন্স ছাড়াও ওয়েবসাইটে স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায় তারপর আবার মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায় । আরো শত শত উপায় আছে যা বলে শেষ করা যাবে না আপনারা নিজে নিজেই বুঝে নিতে পারবেন।