নিউজ ডেস্ক: হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর যুদ্ধ বন্ধের নতুন শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে বন্দিরা মুক্তি পেলে যুদ্ধ থামবে। হামাসকেও অস্ত্র ছাড়তে হবে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভ্যালের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন গতবছর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকার। ইসরায়েলের কাছে তিনি ছিলেন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সন’। ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজায় তাদের অপারেশন চলার সময় সিনওয়ার মারা যান।
ইসরয়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ”এটা ইসরায়েলের সেনার সামরিক ও নৈতিক কৃতিত্ব। এর ফলে বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তির পথ খুলে যাবে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিলের কথাগুলে একটু বদলে বলেছেন, ‘এখনো গাজার যুদ্ধ শেষ হয়নি। তবে শেষের শুরু হয়েছে বলা যেতে পারে।’
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ”আমি গাজার মানুষদের কাছে একটা সরল বার্তা দিতে চাই। যদি হামাস অস্ত্র ত্যাগ করে ও পণবন্দিদের মুক্তি দেয়, তাহলে যুদ্ধ কাল থেমে যাবে। আর যদি কেউ বন্দিদের আঘাত করার চেষ্টা করে, কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিচারও আমরা করব। আর যারা বন্দিদের ছেড়ে দেবে, তাদের সুরক্ষার সব ব্যবস্থা ইসরায়েল করবে।’
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ নাতাশা হ্যাল বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আর কবে বুঝবে যে, নেতাদের মেরে ফেললেও হামাসের মতো মতাদর্শ শেষ হয়ে যায় না। তারা আবার নতুন করে শুরু করে। হিজবুল্লাহ ও হামাসের ক্ষেত্রে অতীতে এটাই হয়েছে। বিশ্বজুড়ে অন্য অনেক গ্রুপের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। তারা আবার নিজেদের সংগঠিত করেছে।‘
নাতাশা জানিয়েছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, হামাস দুর্বল হয়েছে, নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দিয়েছে, তারপরেও তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। এরপর যে হামাসের নেতৃত্ব দেবে, সে সিনওয়ারের থেকে অনেক বেশি নির্মম হতে পারে।’