স্টাফ রিপোর্টার: চা বাগান, হাওর ও পাহাড় বেষ্টিত জেলা মৌলভীবাজারে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে ওঠানামা করলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলাজুড়ে বেশি ঘন কুয়াশা লক্ষ করা গেলেও চা বাগান অধ্যুষিত ও হাওর এলাকায় মানুষের মধ্যে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূতি হচ্ছে।
এদিকে ঠাণ্ডায় কাজে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে পড়েছে চা জনপদের মানুষ। বিশেষ করে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। ভাড়াউড়া চা বাগানের চা শ্রমিক লক্ষী নায়ারণ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে খুব বেশি শীত লাগছে। কুয়াশা বেশি থাকায় সূর্যের অলোর দেখা পাওয়া যায়নি। খুব কষ্টে আছি বাচ্চাকাচ্চা নিয়া।’
রিক্সা চালক মামুন মিয়া বলেন, ‘সকালে রিক্সা চালাইতে পারি না। তারপরও পেটের জালায় বের হই। রুজি না করলে পরিবার চলবে না। হাইল হাওরের কৃষক আকরম আলী বলেন, ঠাণ্ডার মাঝে ধান কাটার ধূম পড়ছে। শীতের মধ্যে ধান কাটতে হয়। কাজের লোক পাওয়া যায় না।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ১১.৯, বুধবার ১২.২, মঙ্গলবার ১৩.৫, সোমবার ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন রবিবার তাপমাত্রা ১৪.৩ ডিগ্রি ও শনিবার ১৩.৫,শুক্রবার ১৩.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
এদিকে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নানা বয়সী মানুষ সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া নিয়ে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি কম হলেও আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। তারমধ্যে চা বাগানের শ্রমিক ও হাওর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এছাড়াও প্রতিদিনের মত শীতজনিত রোগে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি কম হলেও ছাড়া আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বহু রোগী।’