কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭টি গাছ চুরি করে বিক্রি অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও তার ছেলে শাহ আলম। গাছ কাটতে প্রধান শিক্ষক বাঁধা দিলে বাবা ও ছেলে বাঁধা উপেক্ষা করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাক্তন সভাপতি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আলোচনা করেন গাছ বিক্রি করে শহীদ মিনার নির্মাণ করবেন। বাস্তবে শহীদ মিনার নির্মান না করেই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আসিদ আলী মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। সভাপতি দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যালয়ের কমিটির কোনো রেজ্যুলেশন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিংবা ইউএনও’র কোনো অনুমতি ছাড়াই তার ছেলে (শাহ আলম’) কে দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত শনিবার সকালে আকাশিয়া, জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় আকৃতির ১৭টি গাছ কর্তন করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সোবহান বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী বাবুল মাদ্রাজির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গাছ কাটার সংবাদ পান। খবর পেয়ে প্রাক্তন সভাপতিকে গাছ কাটা বন্ধ করতে তার বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করলে সভাপতি তা উপেক্ষা করেন।
গাছ কাটা ও টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘১৭টি গাছ বিক্রি করেছেন প্রাক্তন সভাপতি ও মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী। বিক্রিকৃত গাছের টাকা এখনো জমা না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে প্রাপ্তন সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ধরেন নি। এ ব্যাপাওে কমলগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।