খেলা ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮টি-টোয়েন্টির কোনোটাই জেতেনি বাংলাদেশ। ৯ নম্বর ম্যাচে এসে দারুণ একটা সুযোগ এসেছিল সামনে। খুব কাছে গিয়েও বাংলাদেশ পারেনি সুযোগটা কাজে লাগাতে। ম্যাচটা হেরেছে ৪ রানে। তাতে বৃত্তটা আর ভাঙা হলো না, আর দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য চেয়ে থাকতে হচ্ছে নেপাল আর নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে।
টসে হেরে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল বেশ ভালো। তানজিম সাকিব শুরুর ওভারে রিজা হেনড্রিকসকে ফেরান। এরপর তৃতীয় ওভারে তিনি ফেরান কুইন্টন ডি কককেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি। পাওয়ারপ্লে শেষের আগে ত্রিস্তান স্তাবসকেও পকেটে পোরেন তিনি। মাঝে তাসকিন আহমেদ তুলে নেন এইডেন মারক্রামকে। ২৩ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে এরপর থেকে শুরু হাইনরিখ ক্লাসেন আর ডেভিড মিলার শো’র। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দুজনে দলকে তিন অঙ্ক ছুঁইয়ে দেন। ক্লাসেন ৪৬ রান করে তাসকিন আহমেদের শিকার বনে ফেরেন, এরপর রিশাদ হোসেনের শিকার বনেন ২৯ রান করা মিলার। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষমেশ ইনিংস শেষ করে ১১৩ রান করে।
জবাবে বাংলাদেশ তানজিদ তামিমকে দ্বিতীয় ওভারে হারালেও পাওয়ারপ্লেটা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেয়। তবে বিপাকে পড়ে এরপরই। লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তদের সবাই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ফেরেন। পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হাল ধরেন দলের। ৪৪ রানের জুটিতে জয়ই দেখাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স, ৩৭ রান করা তাওহীদকে ফেরান রাবাদা। ওই ওভার থেকে আসে মোটে ২ রান। ১৮ বলে ২০ থেকে ১২ বলে ১৮ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। সে সমীকরণটা আর শেষমেশ বাংলাদেশ মেলাতে পারেনি। ম্যাচটা হেরেছে ৪ রানে।
খুব কাছে গিয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ